দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও বেড়েছে। ঘরে ঘরে সর্দি–কাশি–জ্বরে আক্রান্ত রোগীর কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকে করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন, অনেকে করাচ্ছেন না। করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎকেরা আইসোলেশনে বা আলাদা থাকার পরামর্শ দেন।করোনা হলে কত দিন আলাদা থাকতে হবে কিংবা শনাক্ত হওয়ার পর পুনরায় পরীক্ষা করাতে হবে কি না—এসব নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনায় কিছু পরিবর্তন এসেছে।
আলাদা থাকার সময়সীমা
দেশে করোনা রোগীদের ১৪ দিন আলাদা থাকার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। সম্প্রতি তা ১০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১০ দিন আলাদা থাকার পর শরীরে উপসর্গ না থাকলে পুনরায় পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। নেগেটিভ সনদ ছাড়াই কর্মস্থলে ফেরা যাবে। যদি ১০ দিন পরও রোগীর শরীরে উপসর্গ থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে আলাদা থাকতে হবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, উপসর্গ না থাকলে পাঁচ দিন আলাদা থাকাই যথেষ্ট। তবে অন্যের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি এড়াতে আরও পাঁচ দিন মাস্ক পরিধান ও কোভিড–১৯–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে।
বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়
বাংলাদেশ সরকার করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার বয়সসীমা কমিয়ে ৪০ বছর করেছে।
বুস্টার ডোজের জন্য যাঁরা অপেক্ষা করছেন, কিন্তু ইতিমধ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁরা সংক্রমিত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর টিকার বুস্টার ডোজ নেবেন।পুনরায় পরীক্ষা করানো যাঁদের শরীরে মৃদু উপসর্গ ছিল, তাঁদের নেগেটিভ সনদের জন্য পুনরায় করোনার পিসিআর পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় সাত থেকে আট দিনে রোগী ভাইরাসমুক্ত হন। তবে অনেকের শরীরে মৃত ভাইরাস বা এর কণা রয়ে যেতে পারে।
আরটি–পিসিআর পরীক্ষায় তা ধরা পড়ে পজিটিভ ফলাফল আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে আলাদা থাকার সময়সীমা বাড়বে।
ডা. নওসাবাহ্ নূর,
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,
পপুলার মেডিকেল কলেজ