এ করোনাকালে দেহের প্রতিরোধকে নানা ভাবে উজ্জীবিত করার কথা বলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বাতলাচ্ছেন নানা উপায়।
তবে অনায়াসে বিনা খরচে দেহ প্রতিরোধকে উন্নত করার সব উপায় আছে। আমরা চেষ্টা করলেই তা করতে পারি।
৫টি আশ্চর্য উপায়—
১. ভালো রাখুন নিজের ত্বক
ত্বকের বাইরের আবরণ রয়েছে ল্যাঙ্গারহান কোষ। যখন অবাঞ্ছিত আগন্তুক অনধিকার প্রবেশ করে আর ত্বক ভেদ করে ঢোকে, তখন ত্বরিত সতর্কবার্তা পৌঁছে যায় ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায়।
তাই প্রায়ই এদের মৃদু সাবান দিয়ে ধুয়ে রাখুন টিপ টপ কন্ডিশনে।
২. সচল রাখুন শরীর
শরীরকে নাড়াবেন। শরীর সচল রাখার জন্য যা ইচ্ছা করুন—দৌড়ান, নাচুন। ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে!’
রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে দারুণ সুরক্ষা উজ্জীবিত করে শরীর আর মনের কুশল। আমাদের শরীর আর মনের স্বাস্থ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত দেহ প্রতিরোধব্যবস্থা।
৩. নিমজ্জিত হোন প্রকৃতিতে
বনে সময় কাটান। উজ্জীবিত হবে দেহ প্রতিরোধ। দাও ফিরে সে অরণ্য। কোথায় অরণ্য, কোথায় ঘন বন-পথ, যেখানে হঠাৎ আবির্ভূত হবে কপালকুণ্ডলা আজানুলম্বিত কেশ নিয়ে? আছে পশুপাখি, আছে মধুকর, আছে অবাধ আনন্দে থাকা প্রাণীরা, আছে ঘন বনের মধ্যে নিস্তব্ধতা। খুঁজে নিন। আর এভাবেই দেহ প্রতিরোধ হবে সবল।
বৃক্ষ নিঃসরণ করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ ‘ফাইটনসাইডস’, সেগুলো উদ্দীপিত করে ইমিউন-ব্যবস্থা। আর দমন করে প্রদাহ।
৪. নিজের ঘুমানোর নমুনা বের করুন, আর এতে লেগে থাকুন
প্রত্যেকে স্বাভাবিক নিয়মে ঘুমান নির্দিষ্ট সময়ে। একে বলা হয় ক্রোনটাইপ। এভাবে ভোরের পাখিদের আলাদা করা হয় নিশি প্যাঁচা থেকে। নিজস্ব ক্রোনটাইপ থেকে বিচ্যুত হলেই ঘুমের সমস্যা হয়। এতে অধঃপতিত হতে পারে রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম।
৫. সজল থাকুন
সচল, সজীব ও কর্মচঞ্চল ইমিউন ব্যবস্থার জন্য চাই পানি। দেহের পুষ্টি উপকরণগুলোকে পানি বয়ে নিয়ে যায় কোষে কোষে, নানা অঙ্গে। পানির মাধ্যমে দেহের বর্জ্য বেরিয়ে আসে শরীরের বাইরে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনে পানি পান করুন এক থেকে দেড় লিটার। এভাবে থাকুন উজ্জীবিত আর সবল-সমর্থ।
ডা. শুভাগত চৌধুরী