বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্কঘণ্টা বাজিয়েই চলেছে। ১৭১টি দেশে এরই মধ্যে অমিক্রন তার অস্তিত্ব জাহির করেছে। সরবে, নীরবে। তারা শঙ্কাও প্রকাশ করেছে দেহের প্রতিরোধকে এড়িয়ে এই দুষ্ট অভিলাষী ক্ষুদ্রাণুর অপ্রতিহত গতি একে করেছে দুর্জয়, আর তাই হয়তো শিগগিরই ডেলটাকে সরিয়ে নিজের সাম্রাজ্যের বিস্তার করবে অমিক্রন। দেখা গেছে, অমিক্রনের বেশি তার আক্রমণের সুবিধা আর পুনঃ প্রজননের হার ডেলটার থেকে বেশি।
কেন এত দ্রুত বিস্তার?
দেহের ইমিউনিটিকে পাশ কাটিয়ে এর অনুপ্রবেশ এই চোরাপথে, তাই এর এত দ্রুত বিস্তার। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, অমিক্রনের এত দ্রুত সম্প্রসারণের ক্ষমতা, দেহের প্রতিরোধ এড়ানোর কৌশল আর এর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
যদিও অমিক্রনের প্রভাবকে বলা হচ্ছে মৃদু। এর জন্য মৃত্যুহার কম আর হাসপাতালবাস কম—এমন ভাবনা আর ধারণা নিয়ে শেষ কথা বলার সময় আসেনি। আগের প্রজাতির চেয়ে এ আরও অনেক বেশি সংক্রামক আর পুরো বিষয় জানার ও বোঝার আগে একে মৃদু বলে অবহেলার অবকাশ নেই।
সুরক্ষার বিকল্প নেই
টিকা দুই ডোজ আর বুস্টার অমিক্রন থেকে সুরক্ষা কিছুটা দেবে—এমন কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। টিকা যে সময়ের পরীক্ষিত সুরক্ষা, তা সর্বজনবিদিত। তাই টিকা নিলে এ থেকে বাঁচার উপায় বাড়বে। যদিও একে কিছুটা অবহেলার দৃষ্টিতে দেখছে জনগণ, তবু এর স্বরূপ আমরা এখনো জানি না। নানা দেশে করোনায় আক্রান্ত অনেক মানুষের ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালে, মৃত্যুও হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবার ওপর চাপ বাড়ছে। তাই সরকার যে বিধিনিষেধগুলো জারি করেছে, তা মানতে হবে।
মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে, টিকা নিতে হবে আর জনসমাগম এড়াতে হবে।
এখন আমাদের এমন সুরক্ষা নেওয়ার বিকল্প নেই।
ডা. শুভাগত চৌধুরী